বাসা ভাড়া নিয়ে যারা থাকেন, বিশেষ করে ব্যাচেলররা—তাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে "রুমমেট"। রুমমেট ছাড়া যেমন জীবন কল্পনাই করা যায় না, তেমনই কখনো কখনো মনে হয়—“ইশ! একা থাকলেই ভালো হতো!” এই সম্পর্কটা যেন একসাথে ভালোবাসা ও বিরক্তির চরম মিলন। এই সম্পর্কটা প্রেমিক-প্রেমিকার থেকেও বেশি জটিল, বেশি রিলেটেবল, আর সবচেয়ে বেশি মজার!
💸 ১. খরচ ভাগাভাগি : ঘরভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, ইন্টারনেট, বাজার , সব কিছু একা বহন করা ভয়ংকর ব্যয়বহুল। রুমমেট থাকলে জীবন অনেকটা manageable হয়ে যায়। আর শেষে মাসে টাকা কম থাকলে, “ভাই, দুইশো ধার দিবি?” — এই একটা লাইনেই রক্ষা।
🎮 ২. একাকীত্বে সাহচর্য : একটা কথা আপনি হয়তো বলবেন না, কিন্তু সত্যি রুমমেট না থাকলে শহরের এই চার দেয়ালে আপনি হাঁপিয়ে উঠতেন। বসে থাকা, একসাথে খেলা দেখা, রাতে ভরপেট আড্ডা , এগুলোর কোনো বিকল্প নেই।
🍗 ৩. রুমমেট মানেই অঘোষিত ফুড শেয়ারিং পার্টনার : আজ সে রান্না করলো, কাল আপনি করলেন। আজকে আপনার ফ্রাইড রাইস, কালকে তার চিকেন কারি। জীবনের ছোট ছোট খুশির নামই রুমমেট।
📱 ১. “ভাই একটু চুপ করবি?” – রাত ২টায় PUBG!
দিন শেষ। আপনি ঘুমুতে যাবেন। রুমমেট: “ভাই, একটাই ম্যাচ, র্যাংক কমে যাবে না তো?” অবশ্যই কমবে না, কিন্তু আপনার ঘুম যাবে ঠিকই।
🛁 ২. বাথরুম = তার ব্যক্তিগত স্পা
একটা বাথরুম। দুজন মানুষ। সে ঢুকেছে সকাল ৮টায়। বেরোলো ৮:৪৫-এ। আপনার অফিস ৯টায়। ধন্যবাদ, Universe!
❄️ ৩. “আমার কোল্ড ড্রিংক গেল কোথায়?”
ফ্রিজে রাখা জুস, মুরগি, বাদাম , সব “অদৃশ্য”। প্রমাণ নেই, স্বীকার নেই, শুধু রুমমেটের চোখে এক চিলতে হাসি।
🧼 ৪. বাসা পরিষ্কার কে করবে? “ভাই, কাল আমি করেছিলাম”
এই “কাল” শব্দটা সব রুমমেটের ডায়ালগে common। বাসায় ধুলা জমছে, জিনিসপত্র ছড়ানো, তবুও সবাই “কাল” করেছে।
রুমমেট সিস্টেম টিকে থাকবে, কিন্তু নিয়ম না মানলে যুদ্ধ হবেই।
এই কয়েকটা কাজ করলে জীবন হবে শান্তিময়:
রুমমেট হচ্ছে সেই মানুষ, যাকে আপনি একসময় মিস করবেন। হয়তো এখন খুব বিরক্ত লাগে, রাগ ওঠে, হাসি পায়, কিন্তু দিনশেষে, এই রুমমেটই ছিলো আপনার ফ্রি থেরাপিস্ট, রাত ২টায় কথা বলার সাথী, টাকা ধার দেওয়ার বন্ধু, আর অনেক সময় আপনার ভাই হয়ে ওঠা অচেনা মানুষ।
যে বাড়ির ছাদে রাতে একসাথে বসে আকাশ দেখেছেন, সে বাড়ি কখনও ভুলবেন না।
যে রুমমেট নিয়ে আপনি বলতেন, “এইটাই অসহ্য!” তাকেই বাসা বদলের দিন জড়িয়ে ধরেছিলেন।